হার্দিক পান্ডিয়া যেন বোবা হয়ে গেছেন! কোনও অনুভূতিই যেন নেই। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে পেরেক ঠুকে দেন তিনি ডেভিড মিলারকে ফিরিয়ে। এমন কিছুর পর অতি আনন্দে পাথর হয়ে যাওয়াটা অমূলক নয়। ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়, যিনি আবেগের উর্ধ্বে, সেই তিনিও জয়ের পর খুশিতে আত্মহারা। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তো ফিল্ডিং পজিশনেই মাথা নুয়ে শুয়ে পড়লেন। যেন দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। কপিল দেব ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো তৃতীয় অধিনায়ক এখন তিনি। শেষ ওভারে ভারতকে জিততে ১৬ রান আটকাতে হতো।
হার্দিক ৮ রানে তুলে নেন দুই উইকেট। শেষ ওভারে এই পেসারে দুর্দান্ত বলে ১৭ বছরের আক্ষেপ দূর করলো ভারত। প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো ভারত। এই জয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরেছে ভারতীয় সব ক্রিকেটারদের!
গত এক বছরে আইসিসির তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেললো ভারত। আগের দুইবারের মতো এবারও শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার গল্পই লিখতে হতো। এর আগে খুব কাছে গিয়েও ট্রফি ছুঁতে পারছিলেন না রোহিত-বিরাট কোহলিরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও হেরেছিল ভারত।
এবার আরও একটি হারের মুখেই ছিল রোহিতের দল। ক্লাসেন ঝড়ের পর জয়ের সুবাস পাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ডেথ ওভারে যশপ্রীত বুমরা ও হার্দিকের বোলিং এবং ডেভিড মিলারের নিশ্চিত ছক্কা সূর্যকুমার যেভাবে ক্যাচে পরিণত করলেন- তাতেই অপরাজিত থেকে ১১ বছরের ট্রফি খরা ঘুচালো ভারত।